সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:১৭
শিরোনাম :
নেছারাবাদ সাগরকান্দার কুখ্যাত ডাকাত রুবেল খুলনায় আটক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ‍্যে নেছারাবাদ উপজেলায় মতবিনিময় সভা বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবসের কর্মসূচি প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রয় নিল ১৪ মিয়ানমার সেনা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি: শেখ ফজলে শামস পরশ বিআইডব্লিউটিএ’র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সার্ভিসের সাতটি ইউনিট অগ্রণী ব্যাংক ৯৭৫ তম রায়পুরা শাখার উদ্বোধন আসন্ন রায়পুরা পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে মোঃ বাহাউদ্দীনকে কাউন্সিলর করতে চান “ওয়ার্ডবাসী”

রায়পুরায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০

রায়পুরা প্রতিনিধি::

নরসিংদীর রায়পুরায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হলেন ১০ জন। গতকাল রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রায়পুরার দুর্গম উপজেলা চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ও মির্জাচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন মির্জাচরের মানিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩২) এবং একই ইউনিয়নের হাবিব মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (৩০)। রুবেল মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলামের চাচাতো ভাই এবং মামুন মির্জাচর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের লোক ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন এবং হাতকাটা অবস্থায় একজনসহ মোট দুইজন নিহত হয়েছেন।

বাঁশগাড়ীতে আধিপত্য বিস্তার ও গ্রামে ফেরাকে কেন্দ্র করে মির্জাচরে এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নূরুল নামে একজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দুই এলাকাতেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা-পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের সদ্য সাবেক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের সঙ্গে বাঁশগাড়ী ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

এর আগেও তাঁদের মধ্যে একাধিকবার পাল্টাপাল্টি হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব দ্বন্দ্বের জের ধরে তাঁদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মির্জাচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁশগাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুলের লোকজনকে গ্রামে তুলে দিতে মির্জাচর থেকে লোকজন বাঁশগাড়ী যায়। সেখানে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে মির্জাচর পাঠালে বাঁশগাড়ীর রাতুল চেয়ারম্যানের হয়ে মির্জাচরের মানিক চেয়ারম্যানের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার চাচাতো ভাই রুবেল মারা যায়।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মির্জাচর ইউপির চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক বলেন, ‘মূলত বাঁশগাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ও মির্জাচরের ফারুকুল ইসলাম এক গ্রুপের। তাঁরা একে অপরকে বরাবরই সহায়তা করে। রোববার আশরাফুলের লোকজনকে গ্রামে তুলে দিতে ফারুকুলের লোকজন লাঠিয়াল হিসেবে বাঁশগাড়ী যায়। সেখানে রাতুল চেয়ারম্যানের লোকজন তাঁদের বাধা দেয় এবং ধাওয়া দিয়ে মির্জাচর এনে গন্ডগোল করে। এতে আমার লোকজন বাধা দিতে এলে আমার সমর্থনকারী একজন নিহত হয়। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে এ ঘটনায় আমার ৭-৮ জন লোক আহত হয়েছে।’ রায়পুরা থানার ওসি গোবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামে ফেরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এই মুহূর্তে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তী সহিংসতারোধে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা